বন্যার কারণে নেত্রকোনায় ৩০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ 


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০১৯, ১২:৩১ পিএম
বন্যার কারণে নেত্রকোনায় ৩০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ 

টানা ছয় দিনের ভারি বৃষ্টিপাত এবং পাহাড়ী ঢলের পানিতে নেত্রকোনায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় জেলার প্রধান নদী সোমেশ্বরী, কংস, ধনু ও উব্ধাখালিতে পানি বেড়ছে। এসব নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও বারহাট্টা উপজেলায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

এদিকে জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার রাতভর বৃষ্টিতে কলমাকন্দায় নতুন করে আরো ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় মোট ৩৪৩টি গ্রামের মধ্যে ২৬২টির প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

এছাড়া কলমাকান্দার সঙ্গে জেলা শহরের প্রধান সড়ক কলমাকান্দা-ঠাকুরাকোণা গত দুদিন ধরে ডুবে থাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। কলমাকান্দা উপজেলার প্রায় ৮০ ভাগ গ্রামীণ সড়ক পানির নিচে রয়েছে। পানি প্রবেশ করায় এ উপজেলায় ১৫৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্তত ১৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এছাড়াও দুর্গাপুরের গাওকান্দিয়া ইউনিয়নের পুরো এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কুল্লাগড়ায় সোমেশ্বরী নদী ভাঙন ধরেছে। এতে করে সমগ্র কুল্লাগড়া ইউনিয়ন হুমকিতে পড়েছে। স্থানীয়রা প্রশাসনের সহযোগিতায় বাঁশ ও বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন ঠেকাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ওই উপজেলায় ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ২২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বারহাট্টায় বাউশি, রায়পুর ইউনিয়নের পাশাপাশি নতুন করে প্লাবিত হয়েছে চিরাম, আসমা ও সাহতা ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম। ওই উপজেলায় ৪৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৫৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে বন্যা দুর্গত এলাকার জন্য চালসহ যে পরিমাণ শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে, চাহিদার তুলনায় তা খুবই অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।  ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ মেট্রিক টক জিআর চাল ছাড়াও শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।

গো নিউজ২৪/এমআর

দেশজুড়ে বিভাগের আরো খবর